বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। মালদার কুমারগঞ্জে এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনার পরেই সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। এবার রাজ্যে আরও বন্দে ভারত চালু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আশঙ্কা, এরকম একটি ট্রেনে যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে তাতে আগামিদিনে রাজ্যে আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেওয়ার বিষয়ে রেল মন্ত্রককে ভাবতে হবে।
আজ বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠক শেষে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসার কথা রয়েছে। কিন্তু এত সুন্দর একটি ট্রেনে যাত্রা শুরু করার প্রথমে এইভাবে হামলার ফলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আগামিদিনে রাজ্যে আরও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেওয়া নিয়ে রেল মন্ত্রককে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। সুকান্তর অভিযোগ, শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ধরনের কাজ করেছে।
এদিকে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও ঘুরিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠেছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই বন্দে ভারতে হামলা চালানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, অগস্টের মধ্যে সারা দেশে মোট ৪৭৫ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলার কথা রয়েছে তার মধ্যে বাংলায় আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেওয়া কথা রয়েছে। সুকান্তর বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া এইসব কাজ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, তিনি বলেন, ‘আবাস যোজনায় ঘর না পেলে বিডিও অফিসে ঢিল মারুন, বন্দে ভারতে কেন মারছেন!’ উল্লেখ্য, এদিন বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সুকান্ত। তবে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা পরবর্তী সময়ে জানানো হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।