বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌গ্রুপ ত্যাগ করে নজর কাড়ার দরকার নেই’‌, বিদ্রোহীদের নিয়ে মন্তব্য সুকান্তের

‘‌গ্রুপ ত্যাগ করে নজর কাড়ার দরকার নেই’‌, বিদ্রোহীদের নিয়ে মন্তব্য সুকান্তের

সুকান্ত মজুমদার। 

ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুর, হিরণ চট্টোপাধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন।

একের পর এক বিদ্রোহ আছড়ে পড়ছে বিজেপিতে। তার জেরে যেমন ভাঙছে দলের সংগঠন তেমন অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়তে শুরু করেছেন বিধায়ক–সাংসদরা। রাজ্য বিজেপির অন্দরে এখন অন্তর্কলহে তোলপাড় অবস্থা। জেলা সংগঠন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অথচ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করছেন, কোনও সাংসদ–বিধায়ক এবং জেলা নেতৃত্ব তাঁর কাছে অভিযোগ জানাননি।

ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুর, হিরণ চট্টোপাধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। এমনকী মতুয়া সম্প্রদায়ের পাঁচ বিধায়কও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই সামনে আসছে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরের এই বিদ্রোহ। আবার দল ছেড়েছেন বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী তনুশ্রী রায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য বিজেপি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বি–টিম।

এই পরিস্থিতিতে দলের বিদ্রোহ ঠেকাবেন কী করে? প্রশ্নের জবাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এই ধরনের কোনও প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের কথা জানেন না তিনি। এমনকী কোনও সাংসদ বা বিধায়ক বা জেলা নেতৃত্ব এই ধরনের কোনও অভিযোগ করেননি। সুকান্ত এই অভিযোগ করলেও তাতে লেফটদের থামানো যাচ্ছে না।

ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?‌ বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘‌আমি বলতে পারব না এই বিষয়ে। কারণ, কোনও সাংসদ–বিধায়ক এই ধরনের কোনও অভিযোগ বা প্রতিবাদ করেননি। কারও যদি কোনও ক্ষোভ তৈরি হয়, তা দলের অন্দরেই মিটিয়ে নেওয়া হবে। তার জন্য গ্রুপ ত্যাগ করে আলাদা করে নজর কাড়ার দরকার নেই।’‌

বন্ধ করুন