এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ, বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে অভিষেকের গুলি করার মন্তব্য নিয়ে মামলা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির নবান্ন অভিযানে এক পুলিশকর্তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। আর তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েই গুলি করার মতো মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক।
ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক? বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশকর্তাকে রাস্তায় ফেলে মারধর এবং হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তারপর আহত পুলিশকর্তাকে এসএসকেএমে দেখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘ওঁরা অনেক সহ্যশক্তি দেখিয়েছেন। আমি থাকলে এখানে গুলি করতাম।’ এবার সেই ঘটনার ১৫ দিন পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ জানাতে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিজেপি রাজনীতিতে না পেরে উঠে আদালত, ইডি, সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা করেছেন। অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অভিষেকের ‘গুলি করা’ মন্তব্যের জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চান সুকান্ত মজুমদার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গুলি করার’ সমালোচনা করে তখন বিজেপি বলেছিল, এই মন্তব্য পুলিশকে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ করে তুলবে।
ঠিক কী বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘বিজেপির হাতে কিছু নেই। তাই তারা কখনও মৃত্যু কখনও মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। নবান্ন অভিযানের নামে পুলিশকে মারধর করেছিল তারা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছিল। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। সাঁতরাগাছিতে ইঁট ছুড়েছিল পুলিশকে লক্ষ্য করে। পুলিশ সহনশীলতা দেখিয়েছে। অভিষেক সে কথা বলতে গিয়েই একটি তুলনা টেনেছিলেন। বিজেপি তা নিয়ে রাজনীতি করছে।’