একুশের নির্বাচনে বিজেপির উত্থান হয়েছিল। তাই তারা রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দল। আর কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তাদের পতন হয়েছে মারাত্মকভাবে। এই দুটি ঘটনা দু’জনের নেতৃত্বে ঘটেছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে এবার বঙ্গ–বিজেপির শীর্ষস্তরে বেশ কিছু বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আজ নয়াদিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার।
আজ, বুধবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার সেখানে হবে বৈঠক। সূত্রের খবর, এখানে এই ব্যাপক পরাজয়ের কারণ জানতে চাওয়া হবে সুকান্তর কাছ থেকে। এমনকী এই বৈঠক থাকবেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এখানের বৈঠকেই স্থির হবে, কারা জায়গা পাবে নতুন রাজ্য কমিটিতে।
বিজেপি সূত্রে খবর, দলের ভোটব্যাঙ্ক ট্রান্সফার হয়েছে। আদি বিজেপি নেতাদের বড় অংশ শিক্ষা দিতে এবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টকে ভোট ট্রান্সফার করেছেন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে। ফলে আসন সংখ্যা তিনে নেমে এসেছে। এমনকী দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। তাই এবার আদি নেতাদের সম্মান দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে দলবদল করে আসা নেতাদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে এবার বদল ঘটানো হবে। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরকেই রাখা হবে কমিটিতে। জেলাস্তর থেকে নতুন মুখ নিয়ে আসা হতে পারে। মহিলাদেরও কমিটিতে জায়গায় দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিজেপির সভাপতি হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তারপর তিন মাস কেটে গিয়েছে। সংগঠন মজবুত হওয়ার পরিবর্তে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। উপনির্বাচন থেকে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন পর্যন্ত সেই ফলই দেখা গিয়েছে। বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচনের আগে রাজ্য কমিটি তৈরি না করলে আরও ধস নামবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। আবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যাচ্ছেন অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে। সবমিলিয়ে তোলপাড় বিজেপি।