নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে ‘সুর’ নেই। থেকে থেকেই বেসুরো হচ্ছেন একের পর এক নেতা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক। আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দলবদল প্রসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিঁধলেন এই নেতা।
গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে রাজকমলবাবুর বক্তব্য, 'গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার সব আসনে জেতে বিজেপি। বহু পুরোনো নেতা তিনি। সেই নেতা কেন দল ছাড়লেন? নেতৃত্বকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে।' তবে রাজকমলবাবুর মতো এই বিষয়ে চিন্তা প্রকাশ করতে চান না অন্য বিজেপি নেতারা। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দলত্যাতে দল কোনও অসুবিধায় পড়বে না।
সোমবারই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দেন তৃণমূলে। তিনি ছাড়া আলিপুরদুয়ার বিজেপির আরও ৭ নেতা তৃণমূলে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ছাড়াও জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র, সম্পাদক বিনোদ ব্লিংজ, সহ-সভাপতি বিপ্লব সরকার, কুমারগ্রামের মণ্ডল প্রেসিডেন্ট নিশান লামা, কালচিনির আহ্বায়ক কৃপাশঙ্কর জয়সওয়াল, সহ-আহ্বায়াক ঈশ্বরকুমার বিশ্বকর্মা, অসীমকুমার লামারা তৃণমূলে যোগ দেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, 'আলিপুরদুয়ারে বিজেপি ভাল ফল করা সত্ত্বেও কেন তৃণমূলে এলাম, এর উত্তর হল নির্বাচনের আগে থেকেই জেলাকে বাদের তালিকায় রেখে কাজ করেছিল বিজেপি হাইকমান্ড। দিল্লি, কলকাতায় নিয়ে গিয়ে যোগদান করানো হচ্ছিল নেতাদের। জেলাকে সে সব খবর দেওয়ার যোগ্য মনে করা হয়নি। তখন থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। প্রতিবাদও করেছিলাম। নির্বাচনের সময় দল ছাড়িনি। গদ্দারি করিনি। পাঁচ আসনে দলকে জিতিয়েছি। তখন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম।'