ভবানীপুর কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন ঘোষণার কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেজ্ঞ করে আদালতে যেতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে হাতিয়ার করা হতে পারে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর একটি চিঠিকে। শনিবার নির্বাচন ঘোষণার পর এই নিয়ে রাতে একপ্রস্থ ভার্চুয়াল আলোচনা সেরেছেন বিজেপি নেতারা। দিল্লির নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগামী সপ্তাহেই এব্যাপারে আদালতে মামলা করতে পারে তারা।
বিজেপির প্রশ্ন, ভবানীপুরে উপ নির্বাচন ঘোষণা হলে বাকি চারটি কেন্দ্রে ঘোষণা হল না কেন? এক্ষেত্রে কমিশন রাজ্যের যে ‘বিশেষ অনুরোধ’কে কারণ বলে দেখিয়েছে তাকেও চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে বিজেপি। ওই অনুরোধে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কমিশনকে লিখেছিলেন, ‘‘সংবিধানের ১৬৪(৪) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব লেখেন, যদি কোনও মন্ত্রী টানা ছ’মাস বিধানসভার সদস্য না থাকেন এবং অবিলম্বে নির্বাচন না হয়, তা হলে ছ’মাসের শেষে তিনি আর মন্ত্রী থাকতে পারেন না, সাংবিধানিক সঙ্কট ও শীর্ষ প্রশাসনিক পদে শূন্যতার সৃষ্টি হয়। কমিশনকে মুখ্যসচিব এ-ও জানিয়েছেন যে, প্রশাসনিক জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থের কথা ভেবে এবং রাজ্যে যাতে প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি না হয়, তার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়তে চাইছেন, সেখানে নির্বাচন করানো হোক।’
বিজেপির প্রশ্ন, নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রার্থী মাত্র। তিনি কোন আসন থেকে লড়বেন তা কমিশনকে জানানো কি মুখ্যসচিবের কাজ? এই কাজ করে তো মুখ্যসচিব কার্যত তৃণমূলের নেতার মতো আচরণ করেছেন। সেই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে কী ভাবে নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে কমিশন? বিজেপি সূত্রের খবর, মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে তারা। বিজেপির হয়ে মামলা লড়বেন সাংসদ মহেশ জ্যেঠমালানি।