সামনেই সেমিফাইনাল। পরের বছর ফাইনাল। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের ধাঁচে টোল ফ্রি নম্বর চালু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। সেই নম্বরে ফোন করে তৃণমূল, প্রশাসন থেকে শুরু করে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। পাশাপাশি, দল সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছ গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন : লোকসভা ভোটের পর একাধিক রাজ্যে ধাক্কা BJP, বিধানসভায় ফিকে মোদী-শাহর ক্যারিশমা?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যদি কেউ পরামর্শ দিতে চান বা প্রশাসন নিয়ে দলের (বিজেপি) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান বা আমাদের কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চান, তাহলে তিনি টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।'
আরও পড়ুন : 'পরাজয়ে আমরা নিরাশ হই না', সকালেই দিল্লি BJP অফিসের বাইরে পড়ল হোর্ডিং
দিলীপ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই টোল ফ্রি নম্বর চালু হবে। নাম গোপন রাখার শর্তে বিজেপির এক প্রথম সারির নেতা জানান,এক মাসের মধ্যেই এই নম্বর চালু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পুরসভা ভোটেই ফল মিলবে আশা ওই নেতার। বিজেপির এক রাজ্য সম্পাদক বলেন, 'টোল ফ্রি নম্বরের ফলে তৃণমূলের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাব। পাশাপাশি মানুষ বিজেপির থেকে কী চাইছেন, সে বিষয়েও আমাদের স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।'
আরও পড়ুন : পুরভোটে বিজেপির কাণ্ডারি মুকুল রায়, সামনে চ্যালেঞ্জ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামালানো
রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা সময় জনমানসে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ড্যামেজ কন্ট্রোলে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি চালু করে তৃণমূল। তারপর যে তৃণমূলের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও উজ্জ্বল হয়েছে, তা কয়েকটি উপনির্বাচনের ফল থেকেই স্পষ্ট হয়েছে। বেড়েছে জনসংযোগ। সেই 'সাফল্যের' জন্য গেরুয়া শিবিরও তৃণমূলের পথে হাঁটল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন : রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে ফের রাজ্যপালের কাছে BJP বিধায়করা
কলকাতায় সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মইদুল ইসলাম বলেন, 'হারানো জমি পুনরূদ্ধারে দৃশ্যতই দিদিকে বলোর সুফল পেয়েছে তৃণমূল। ইতিবাচক প্রভাবের জন্য সেই মডেল অনুকরণের চেষ্টা করছে বিজেপি।'
আরও পড়ুন : বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলে বিধানসভায় হুঁশিয়ারি মমতার
নয়া টোল ফ্রি নম্বর নিয়ে প্রত্যাশামতোই তৃণমূল শিবির থেকে উড়ে এসেছে কটাক্ষ। তাপস রায় বলেন, 'দিদিকে বলো কর্মসূচি অনুকরণ করছে ওরা (বিজেপি)। তবে তা ব্যর্থ হবে। প্ররোচনামূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিজেদের দলের একাংশ যে পরামর্শ দিচ্ছে, সে কথাই শুনছেন না দিলীপ ঘোষ ও তাঁর টিম। তারপর কে আশা করবেন যে বিজেপি মানুষের কথা শুনবে? '
আরও পড়ুন : বিজেপি ধপাস ধুম, বাঁকুড়ায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়