পদ্মশ্রী–পদ্মভূষণ ফেরানো নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান নিয়ে বেশি জলঘোলা হচ্ছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কমিউনিস্টরা বরাবরই দেশের সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন। এবার এই নিয়ে টুইট খোঁচা দিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান সাংসদ তথাগত রায়। পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পদ্মভূষণ ফিরিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
ঠিক কী লিখেছেন তথাগত রায়? এদিন প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘কয়েক বছর আগে কিছু লোক হঠাৎ নিজেদের পাওয়া পুরষ্কার ফেরত দিতে আরম্ভ করেছিল। তাঁদের নাম হয়েছিল ‘অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি গ্যাং।’ আজ তাঁদের কথা কেউ মনে রেখেছে? এক পুরষ্কার প্রত্যাখ্যানকারী বলে যাঁদের নাম খবরের কাগজের প্রথম পাতায় বেরোচ্ছে তাঁদের নাম কাল মুড়ি খাওয়ার ঠোঙায় পরিণত হবে।’ এই টুইটে স্পষ্ট তিনি প্রত্যাখ্যানকারীদের আক্রমণ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও।
পদ্মভূষণ পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আর আলাদা করে এখন কিছু বলেননি। তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন, ‘পদ্মভূষণ পুরষ্কার নিয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে এই নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরষ্কার দিয়ে থাকে তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।’ বুদ্ধবাবুর এই অবস্থান বিজেপি নেতারা মেনে নিতে পারেননি। তাই বারবার নানা মন্তব্য করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কবীর সুমন বলেছেন, ‘বিদ্বেষ থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়েছে। শ্বেতাঙ্গরা অন্তত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল পুরষ্কারটা দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে তাঁরা অন্য কিছু বিচার করেননি কিন্তু। এই শহরেই দু’জন আছেন যাঁরা পদ্মভূষণ পেয়েছেন। তাঁদের কেরিয়ার আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কেরিয়ারটা দেখুন। কী কী ধরনের গান গেয়েছেন উনি! সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান করেছে কেন্দ্র। খুব খারাপ লাগছে।’