শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। বুধবার বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে হাতে লেখা ইস্তফাপত্র দাখিল করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। বলা যায়, তৃণমূলের সঙ্গে প্রায় সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া এদিন মুকুল রায় বলেন, ‘যেদিন শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন সেদিনই আমি বলেছিলাম যে ও যদি তৃণমূল ছাড়ে তা হলে আমি খুব খুশি হব। এবং আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব। আজ তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আমি তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’ প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের মতে, ‘এটা গণআন্দোলনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে একটা বড় সিদ্ধান্ত।’
শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপি–তে যোগ দেন তবে কি তাতে দল উপকৃত হবে? এই প্রশ্নের জবাবে মুকুল বলেন, ‘বাংলায় বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও গণআন্দোলনের নেতা যদি বিজেপি–তে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চায় তা হলে তা অবশ্যই দলের পক্ষে ভাল।’ তবে ১৯ ডিসেম্বর, শনিবার শুভেন্দুর বিজেপি–তে যোগদানের যে জল্পনা উঠেছে সে ব্যাপারে এদিন কিছু বলেননি মুকুল রায়।
সুব্রত বক্সি ও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিজেপি— এদিন কোচবিহারের জনসভা থেকে এই অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুকুল রায় বলেন, ‘যোগাযোগ তো করতেই পারে। কিন্তু তৃণমূলের যে সব নেতা প্রথম থেকে দলের সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা বর্তমান নেতৃত্বের অপশাসনের জেরে আর দলে থাকতে চাইছেন না।’ মুকুল রায়ের কটাক্ষ, ‘তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যেকদিন কেউ না কেউ তৃণমূল থেকে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন।’
তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর দলে ঠিক কোন পদে রয়েছেন তা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আজও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিকে–র অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানাননি। তিনি কি পয়সা নিয়ে কাজ করছেন নাকি দলে তাঁর কোনও পদ রয়েছে— তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।’