রামপুরহাটের ঘটনায় এবার শোরগোল ফেলতে মাঠে নামল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই সিট গঠন করা হয়েছে। ক্লোজ করা হয়েছে রামপুরহাট থানার ওসি এবং এসডিপিও–কে।
ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার? আজ, মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এই রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে। রাজ্যজুড়ে অরাজকতার শাসন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুলিশমন্ত্রীও বটে, বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। ১০ জনকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হল। আর কথায় কথায় গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস! এই ব্যর্থতা মুখ্যমন্ত্রীর। আমার বারবার মনে হচ্ছে, এই রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে।’
এদিকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা ঘটেছে এখানে। আইনশৃঙ্খলা এই রাজ্যে ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত।’ আর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্রুত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। সোমবার রামপুরহাটে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। আর তারপর থেকে এখানে তাণ্ডব শুরু হয়। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। কিন্তু ডিজি অমিত মালব্য ৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। আর এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর দফতর এবং রাজ্যপালকে ট্যাগ করেছেন তিনি। সেই টুইটে তাঁর অভিযোগ, মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।