আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে বিজেপির পার্টি অভিসে চাল উদ্ধারের অভিযোগের জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বিকেলে এক ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দাবি করেন, ওই চালও তাদের নয়, আর পার্টি অফিসও তাদের নয়। সঙ্গে তৃণমূলকে সাবধান করে তিনি বলেন, মিথ্যা প্রচার করলে আইনের পথে হাঁটবে বিজেপি। তখন হাতে পায়ে ধরতে হবে।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে বিজেপির পার্টি অফিসে চাল পাওয়া গিয়েছে বলে যে প্রচার চলছে তা একেবারে মিথ্যা। ওই পার্টি অফিস বিজেপির নয়। চাল তো বিজেপির নয়ই।
তাহলে কী করে সেখানে এল বিজেপির পতাকা ও ব্যানার? দিলীপবাবু জানিয়েছেন, ফাঁকা ওই দোকানঘরটি গত লোকসভা নির্বাচনের সময় দলীয় কার্যালয় করার জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের সময় ৩ মাস সেখান থেকে দলীয় কাজকর্ম পরিচালিত হত। ভোট শেষ হতে পার্টি অফিস ছেড়ে দেয় বিজেপি। কিন্তু সেখান থেকে দলের ব্যানার পতাকাগুলি খুলে আনেননি দলীয় কর্মীরা। সম্প্রতি রেশনের চাল রাখার জন্য ওই ঘরটিই ভাড়া নেন স্থানীয় এক রেশন ডিলার। তিনি সেখানে চালের বস্তা রাখার পর তৃণমূলের লোকজন সংবাদমাধ্যমে ডেকে বিজেপি পার্টি অফিসে চাল রাখা হয়েছে বলে খবর ছড়ায়।
শুক্রবার এই ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন দিলীপবাবু সেই টুইটের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হয় মন্ত্রী হয়েও ওনার কাছে সঠিক তথ্য নেই। নইলে উনি মিথ্যে কথা বলছেন।’
দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘মাদারিহাটের ঘটনায় বিজেপির দূরদূরান্ত পর্যন্ত সম্পর্ক নেই। ওখানে আমাদের একটা পার্টি অফিস ছিল। সেটা আমরা ভোটের সময় ব্যবহার করেছি। ভোট শেষ হওয়ার পর ৬ মাস আমরা ওটার ভাড়াও দিই না।’
তবে সেখানে যে বিজেপির ঝান্ডা ছিল তা মেনে নিয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘ওরকম ঝান্ডা এখন গোটা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। তাহলে তো গোটা পশ্চিমবঙ্গটা বিজেপির হয়ে যাওয়ার কথা।’ সঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ‘সেখানকার ডিলার স্বীকার করেছেন, চালটা তিনি এনেছেন।’
এর পরই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘পার্থবাবুর মতো মন্ত্রীর এই রকম মিথ্যে কথা বলা উচিত নয়।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি আলাদা। চাল চুরি সঙ্গে বিজেপির কোনও কর্মী জড়িত নন। চাল চুরিটা তৃণমূলের পেশা।’
বলে রাখি, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে রেশনের চাল ও আটা উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বানারহাট থানা এলাকার তেলিপাড়ায়।