পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের বাকি এখনো পাক্কা ১ বছর। তাই বলে দলবদল নিয়ে জল্পনা থেমে নেই। তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন এমন জল্পনার মধ্যেই চমক। সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদের বাড়িতে দেখা মিলল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যা নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
রবিবার প্রকাশ্যে আসা এক ছবিতে দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে রানাঘাটের প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতির্ময়ী শিকদারকে। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, এই ছবি জ্যোতির্ময়ীর বিধাননগরের বাড়ির। অর্থাৎ জ্যোতির্ময়ীর বাড়িতে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু।
সূত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপবাবু। তখন জ্যোতির্ময়ী তাঁকে চায়ে আপ্যায়নের জন্য ডাকেন। তখনই জ্যোতির্ময়ীর বাড়িতে ঢুকে পড়েন দিলীপবাবু। ছবিতে দিলীপবাবুকে আবার পদ্মফুল দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন জ্যোতির্ময়ী।
রাজনীতিতে যদিও এত সরল তত্ত্ব মানতে রাজি নন কেউ। তাদের দাবি, জ্যোতির্ময়ীর সঙ্গে দিলীপের আগে কোনও কথা না হয়ে থাকলে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ার গল্প বিশ্বাস করা মুশকিল। নইলে সাত সকালে পদ্মফুল কোথায় পেলেন তিনি। তাদের দাবি, বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন জ্যোতির্ময়ী। সম্ভবত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারেন তিনি।
১৯৯৮ সালে জাকার্তা এশিয়াডে সোনা জেতেন জ্যোতির্ময়ী। ফেরার পর তাঁকে ব্যাপক সম্বর্ধনা দিয়েছিল বাম সরকার। ২০০৪ সালে রাজনীতিতে আসা তাঁর। লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করে সিপিএম। রানাঘাট আসন থেকে প্রথমবারেই বাজিমাত করেন রাজনীতিতে আনকোরা জ্যোতির্ময়ী। ২০০৬ সাল থেকে সিপিএমে ক্ষয়রোগ শুরু হতে রাজনীতিতে আর বিশেষ দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে লড়েন তিনি। কিন্তু ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু ঘাসফুলে তাঁকে সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি কোনওদিন।
এহেন জ্যোতির্ময়ী বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে জল্পনা। তবে জ্যোতির্ময়ীর তরফে এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দিলীপবাবু দিলখোলা মানুষ। আপ্যায়ন করতে চাইলে না বলেন না। এর সঙ্গে জ্যোতির্ময়ীর বিজেপিতে যোগদানের কোনও যোগাযোগ নেই।