ঠেকে শিখল বিজেপি। দলে এসেই বড় পদ পেয়ে তৃণমূলে ফেরার প্রবণতা রুখতে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে বিজেপিতে এসেই মিলবে না বড় পদ। কয়েক বছর দলের নীতি-আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ততা প্রমাণ করলে পদ মিলতে পারে। এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে। আর দলে যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তের মতো নেতারা। মুকুল রায়কে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হলেও দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারায় দলীয় পদের মোহ ছেড়ে তাঁরা ফিরেছেন পুরনো দল তৃণমূলে। যাতে বেজায় অস্বস্তিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিজেপি সূত্রের খবর, মুকুল, সব্যসাচী, রাজীবদের পদপ্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। পদ দিয়ে তাঁদের তুষ্ট করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু দলীয় পদে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা বুঝতে পারেননি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তার ফল যা হওয়ার হয়েছে তাই।
সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে দলবদল করতে পারেন এমন সমস্ত নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরাতে চলেছে বিজেপি। তাতে তারা যদি তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাতেও সিদ্ধান্ত বদলাবে না দল। এমনই জানিয়েছেন দিলীপবাবু।
আগামী ৭ নভেম্বর দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের পরবর্তী রাজ্য কমিটি চূড়ান্ত হবে। সেখানে কোনও ‘দালাল’ থাকবে না বলে জানিয়েছেন দিলীপবাবু। সঙ্গে তিনি বলেন, এবার থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে আগে দলের নীতি আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে হবে। তার পর পাওয়া যাবে পদ।
দলের একাংশের মতে, তৃণমূল থেকে আসা নেতারা পদ পেয়েও দল ছাড়ায় নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে তার প্রভাব পড়ছে। তাছাড়া এই নেতারা দিনের পর দিন দলবিরোধী কথা বললেও তাদের বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হয়নি, উঠছে সেই প্রশ্নও।