শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল ছেড়েছেন একঝাঁক নেতানেত্রী। প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে খবর আসছে দল ভাঙনের। এরা অনেকেই প্রশান্ত কিশোরকে দুষে দল ছাড়ছেন। বলছেন যে কর্পোরেট সংস্কৃতিতে দল চলতে পারে না। পিকে-র যদিও এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে টুইটারে বড়সড় পূর্বাভাস করে দিলেন প্রশান্ত কিশোর। এমনকী সেটি না মিললে টুইটার ছেড়ে দেবেন বলে দাবিও করেছেন তিনি।
আইপ্যাকের প্রতিষ্ঠাতা তথা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরের দাবি বিজেপি দুই অক্ষরের গণ্ডি পেরোবে না। অর্থাৎ বিজেপি ১০০টি আসনও পাবে না ২৯৪ আসনের বিধানসভায় বলে মনে করেন তিনি। গত বছরের লোকসভা ভোটে বিজেপি ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল। অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের মতে বিজেপিতে এত নেতার সমাগম ও এত প্রচারের পরেও দলের আসন কমবে লোকসভায় জয়ের নিরিখে, বাড়বে নয়।
এদিন প্রশান্ত কিশোর অভিযোগ করেন যে বিজেপিকে তোল্লাই দিচ্ছে মিডিয়ার একাংশ। বাস্তবে গেরুয়া দল একশো পেরোবে না বলে রাজনৈতিক গুরুর দাবি। এমনকী লোকজনকে টুইটটি যত্ন করে সংগ্রহ করে রাখার চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ভোটে তৃণমূল মাত্র ২২টি লোকসভা আসন জেতার পর রাজনৈতিক কৌশলে অনেক বদল এসেছে প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে। দিদিকে বলো থেকে শুরু করে বঙ্গ ধ্বনি, সবেতেই আছে পিকে-র ছোঁয়া। তৃণমূলকে যে তৃণমূল স্তরে গিয়েই রাজনীতিটা করতে হবে, সেই উপলব্ধিটা দলের মধ্যে আনতে পেরেছেন প্রশান্ত কিশোর। দুয়ারে দুয়ারে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য, বিশেষত স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করেছে, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব নিশ্চিত, কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট ফের তৃণমূলের দিকে ঘুরবে। সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনই পিকে-র টুইট বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এটাও ঠিক একের পর এক বিধায়ক পিকেকে দুষে যেভাবে দল ছাড়ছে, তাতে আইপ্যাক প্রতিষ্ঠাতা কিছুটা হলেও চাপে। তাই ময়দানের পিকে-র মতো রাজনীতির পিকে হয়তো ভোকাল টনিক দিয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছেন তাঁর টিমকে!