অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন বিজেপি কর্মী। আত্মঘাতী বিজেপি কর্মীকে নিজের বন্ধু বলে সম্মোধন করে এই কথাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে কর্মীদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপনির্বাচনের ঠিক আগের দিন এক বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যা করার খবর প্রকাশ্যে আসে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘যে বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আমার বন্ধু। ওর নাম ইন্দ্রজিৎ সেন। গত বছর ওকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পারলেও ও আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। গতকাল রাতে ও আত্মহত্যা করেছে।’ শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ফিরহাদ। তিনি আরও জানান, ‘দলের একজন কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। তবু বিজেপির কেউ খোঁজ নিতে আসেননি।’ ফিরহাদ জানিয়ে দেন, বিজেপির এখানে কোনও সংগঠন নেই। গত বছর যাদের বুঝিয়ে সুজিয়ে বিজেপিতে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাঁরাই এখন বিজেপি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে যখন নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলাম, তখন এই রকম অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে দিনহাটায় এক বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় জোর উত্তেজনার সৃষ্টিও হয়। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু বিজেপি কর্মীর এভাবে আত্মহত্যা করার পিছনেও কী হিংসারই প্রচ্ছন্ন ছায়া আছে নাকি দলীয় নেতাদের উদাসীনতাই দায়ী, সেই প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই।