পুলিশ হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে ধুন্ধুমার বাঁধল মধ্য কলকাতায়। দেহ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। নেতৃত্ব দেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুলিশি বাধার মুখে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরোধ করেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ পর অবরোধ ওঠে।
অভিযোগ, ভাইপোর বিরুদ্ধে নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ থাকায় গত মাসে মদন ঘড়ুই নামে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ওই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, পুলিশ হেফাজতে নয়, জেল হেফাজতে ছিলেন মদনবাবু। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতার SSKM হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। দেহের ময়নাতদন্ত হয় SSKM হাসপাতালেই। তার পর শুক্রবার দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
বিজেপির দাবি, মদন ঘড়ুই তাদের সক্রিয় কর্মী। তাঁকে হেফাজতে পিটিয়ে মেরেছে পুলিশ। এদিন দেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে মৃতের পরিবার। তাতে সহমতি জানায় আদালত।
এর মধ্যে দেহ নিয়ে দলের রাজ্য সদর দফতরের সামনে হাজির হয় বিজেপি। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মীরা। এর পর লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে কিছুটা এগোতেই বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় সরণির মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। এর পর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন লকেট। বেশ কিছুক্ষণ বিতণ্ডা চলার পর রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউর শ্যামবাজারগামী শাখা।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় একের পর এক বিজেপি কর্মী খুন হচ্ছেন। এনাকেও পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রী তো দেখতে আসবেন না। আমরাই তাই তাঁর কাছে দেহ নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আটকে দিল।’
এর পর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ RG কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।