তৃণমূলে ফেরায় মুকুল রায়ের পারলৌকিক ক্রিয়া করলেন বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার মুরলিধর সেন স্ট্রিটে দলের রাজ্য সদর দফতরের সামনে মুকুল রায়ের ছবি রেখে শ্রাদ্ধ শান্তি করেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মীরা। তাঁদের দাবি, মুকুল রায়ের কোনও অস্তিত্ব আর নেই তাঁদের কাছে। তবে যুব মোর্চার এই কর্মসূচিতে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার দলের রাজ্য সদর দফতরের সামনে মুকুল রায়ের ছবি রেখে মন্ত্রোচ্চারণ করে পারলৌকিক ক্রিয়া করেন বিজেপি কর্মীরা। ফুল – মালা – ধূপের গঙ্গে তখন ম-ম করছে এলাকা। যুব মোর্চার এক কর্মী বললেন, মুকুল রায় মিরজাফর। ওকে দলে এনে সম্মান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন। আমাদের কাছে উনি মৃত। তাই ওনার আত্মার শান্তি কামনায় সনাতন রীতি মেনে পারলৌকিক কাজ করছি।
তবে বিষয়টিকে কিছু অতিতৎপর যুব কর্মীর কাণ্ড বলে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, মুকুল রায়ের দলত্যাগের দিনই তাঁর শ্রাদ্ধ করে মাথা মুড়াবেন বলে জানিয়েছিলেন BJYM-এর রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। সেই সৌমিত্র খাঁ, যিনি একদা মুকুলের অনুগত অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন। সেই সৌমিত্র খাঁ যিনি মুকুলের হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
সৌমিত্র খাঁ-র মস্তকমুণ্ডনের প্রতিজ্ঞা শুনে তাঁকে ফোন করে নিরস্ত করেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হতে পারে বলে জানান তাঁরা। এর পর সৌমিত্র খাঁ জানান, বাবা-মা জীবিত। তাই বাবা মাথা ন্যাড়া করতে বারণ করেছেন। কিন্তু এর আগেও একবার বাঁকুড়া ষাঁড়েশ্বরের মন্দিরে মাথা মুড়িয়ে পুজো দিয়েছিলেন সৌমিত্র।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করতে সৌমিত্রর নির্দেশেই এদিন মুকুলের শ্রাদ্ধশান্তির আয়োজন। মুকুলের প্রতি তাঁর আনুগত্য যে আর নেই তা প্রমাণে মরিয়া হয়েই যুব মোর্চার কর্মীদের ময়দানে নামিয়েছেন তিনি।