পুলিশের নজর এড়িয়ে নবান্নের কাছে পৌঁছে গেলেন বিজেপি কর্মীরা। শিবপুর মন্দিরতলা দিয়ে নবান্নে পৌঁছতেই বিজেপি কর্মীদের আটক করে পুলিশ। নবান্নের কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। তৎক্ষণাৎ তাঁদের আটক করে পুলিশ। আর সঙ্গে সঙ্গে আঁটসাঁট করা হয়েছে নবান্নের নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযানে একাধিক দিক থেকে মিছিল আসতে শুরু করেছে। এখন সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নেমেছে র্যাফও।
ঠিক কী ঘটেছে মন্দিরতলায়? আজ, মঙ্গলবার শিবপুর মন্দিরতলা দিয়ে কিছু বিজেপি কর্মী আসছিলেন। তাঁরা দেখেন সেখানে পুলিশ রয়েছে। তখন ঘুরে গিয়ে নবান্নের কাছাকাছি চলে যান। আর তা দেখে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আর নবান্নের মূল ফলকে নিরাপত্তা বেশ কড়া করা হয়েছে। হাওড়া কমিশনারেট এবং কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের মিছিল আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে।
আর কী ব্যবস্থা করা হয়েছে? আজ, মঙ্গলবার নবান্নে আছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। নবান্নের দুটি প্রবেশ পথে পরিচয়পত্র যাচাই করেই সরকারি কর্মচারীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। নবান্নের কর্মচারীদের আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা সরকারি কাজ করাতে আসছেন তাঁদের ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের আইকার্ড দেখে তবেই ঢুকতে হচ্ছে। করতে হচ্ছে সইও। নবান্ন চত্বরে কী কী গাড়ি আসছে, গাড়ির ভিতরে কারা রয়েছেন সেসব খুঁটিনাটি খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযান উপলক্ষ্যে এদিন শহরের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে কলেজ স্ট্রিট এবং এনসি স্ট্রিটে। ফলে সাধারণ মানুষকে বিকল্প রাস্তা হিসেবে লেনিন সরণি এবং মৌলালি দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে এমজি রোডেও। কলকাতা ও হাওড়ায় বাড়তি পুলিশ কর্তা ও কর্মীকে রাখা হয়েছে। রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার–সহ দু’জন অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার, চারজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার, ১৬ জন সার্জেন্ট এবং মহিলা পুলিশ কর্মীরা। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।