বিধানসভায় তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতি নিয়ে এখনও সরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের প্রস্তাব মেনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। একই সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। এবার বিজেপি পরিষদীয় দল স্পিকারকে চিঠি দিয়ে পাল্টা তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল। তাদের পাল্টা দাবি, সেদিনকার ঘটনায় ১০ জন বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন। এই দাবিতে তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
যদিও বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহার নিয়ে কোনও রকমের আবেদন জানানো হয়নি ওই চিঠিতে। যে ১০ জন বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করছে বিজেপি পরিষদীয় দল তাদের নাম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, অজয় পোদ্দার, সুনীল মাহাতো নরহরি মাহাতো, নদিয়াচাঁদ বাউড়ি, লক্ষ্ণচন্দ্র ঘড়ুই, সত্যেন রায়, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর ঘোষ আহত হয়েছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই বিধায়করা বিরোধীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন আমরা চাইছি তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ যদিও এনিয়ে স্পিকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, রামপুরহাট কাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল বেঁধে যায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির বিধায়করা। যার ফলে নাক ফেটে যায় এক তৃণমূল বিধায়কের। এই ঘটনার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। বিধানসভায় এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।