ইতিমধ্যেই শুধু ভবানীপুরে উপনির্বাচন হওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেই সাংবিধানিক সংকট এড়াতে যে এই পদক্ষের নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'হোমগ্রাউন্ড' ভবানীপুরেও নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি চেয়ে ছক কষা হবে বলে আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে না পারেন, তার জন্য এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দিলীপ ঘোষ জানালেন যে মমতার বিরুদ্ধে ভবানপুরে 'হালকা' প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বিজেপি চায়, মমতাকে যাতে জিততে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আর তাই সর্বশক্তি দিয়ে ভবানীপুরে ঝাঁপানোর কথা জানান দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রামের হার মমতাকে মনে করিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী তো নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন। ভবানীপুরেও লড়াই সমানে সমানে হবে। দল এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।' বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মু্র্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ভোট নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল রাখতে কোনও একটি কেন্দ্রে নির্বাচন করানো কমিশনের কাজ নয়। সাংবিধানিক সংকটের যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ সেই ক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ডের উদাহরণ টেনে আনেন। সেখানে কয়েক মাস আগেই উপনির্বাচন না হওয়ায় বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিং রাওয়াত পদত্যাগ করেছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মমতা প্রভাব খাটিয়ে উপনির্বাচন করাতে মরিয়া হয়ে যান বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।