জ্বালানি তেলের ওপর থেকে রাজ্য সরকারের ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির ডাকা মিছিল আটকে দিল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। তবে পুলিশের এই মিছিল আটকানো তাঁদের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এই বাধাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, বিজেপিকে আসলে ভয় পাচ্ছে রাজ্য সরকার।
পেট্রলের ওপর লিটার পিছু ৫ টাকা ও ডিজেলের ওপর লিটার পিছু ১০ টাকা উৎপাদন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই ভ্যাট কমানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, গুজরাত-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি। ভোটের মুখে কংগ্রেসের পঞ্জাবেও জ্বালানি তেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারও যাতে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, সেজন্য চাপ সৃষ্টি করতেই এবার ময়দানে নামল বিজেপি।
এদিন বিজেপির রাজ্য সদর দফতর মুরলীধর সেন স্ট্রিটের মুখেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। কোনও দিক দিয়েই যাতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিছিল বের করতে না পারেন, সেজন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধ্বস্তিও হয়। লেনের মধ্যেই আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। রাজ্য বিজেপি দফতরের সামনে এদিনের জমায়েতে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ সাংসদ ও বিধায়করা। পুলিশি বাধা না মেনে এদিন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা এগোতে গেলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে, পরে ছেড়েও দেয়।
রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি, অবিলম্বে এই রাজ্যের সরকারকেও ভ্যাট কমাতে হবে। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা চত্বরের মধ্যে মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, ভ্যাট না কমালে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও জানান, 'আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাম কমাতে বাধ্য করব। ধারাবাহিকভাবে এই কর্মসূচি চলবে। আগামীকাল পেট্রল পাম্পে সচেতনতা কর্মসূচি হবে।'