পা দিয়ে ভারতীয় পতাকা মাড়িয়ে যাচ্ছে কয়েকজন- দিনকয়েক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যে ছবিটি বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে দাবি করা হয়েছে। স্বভাবতই ক্ষোভে ফুটছেন ভারতীয়রা। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সব ছবি আসছে, তা দেখে ভারত-সহ বিশ্বের প্রান্তের মানুষ ক্ষোভে ফুটছেন। আর আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় একই ক্ষোভ এবং রাগ ফুটে উঠল। তৃণমূল সাংসদ জানান, বাংলাদেশের যে ছবি দেখছেন, তাতে রাগ সামলাতে পারছেন না। রক্ত ফুটছে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক।
'যে ভাষায় বাংলাদেশ বোঝে, সেই ভাষায় বলতে হবে'
শনিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, ‘ঢাকা এবং বাংলাদেশ যে সব ছবি সামনে আসছে, তাতে রাগ সামলে রাখা যাবে না। (ওই ছবিগুলি দেখলে) আপনার রক্ত ফুটবে। একইসঙ্গে আমি এটাও বলব যে এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এরকম পাশবিক কাজ করছে। আমার মতে, ওদের (নরেন্দ্র মোদী সরকার) এই বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত এবং ওদের (মহম্মদ ইউনুস সরকার) সঙ্গে এমন ভাষায় কথা উচিত যে ভাষাটা ওরা বোঝে।’
আগেই বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক
তবে এই প্রথমবার বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন না অভিষেক, আগেও পুরো বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। হিন্দু সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারি এবং জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে অভিষেক জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে, তা বৈদেশিক বিষয়। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। দলগতভাবে তাঁদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট - ভারত সরকার যে পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন জানাবে তৃণমূল। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
বাংলাদেশকে আক্রমণ করে কবিতা দেবাংশুর
শুধু অভিষেক নন, বাংলাদেশের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য কবিতা লিখে বলেন, ‘তোমার যবে মরণবাঁচন লড়াই, পাকিস্তানের গুলিতে রক্তবন্যা, সেদিনকে এক দেশ দাঁড়িয়েছে পাশে ঢাল হয়েছিল এক সে লৌহকন্যা.. পাকিস্তানের বাঙালি নিধন যজ্ঞ সে না থাকলে কে দাঁড়াত রুখে? ঝাঁঝরা হত তোমার বাবা, কাকা পা তুলেছে সেই তেরঙার বুকে? সহিংসতায় আজকে তুমি মত্ত ধর্ম নেশায় ভুলেছো ইতিহাস, ঘৃণার বীজ রোপণ করো যদি হয় কি তাতে ভালোবাসার চাষ? পাকিস্তান আর তোমার তফাৎ কোথায়? সবাই বলে তাকিয়ে আমায় দ্যাখ।’