দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন সভাপতির দায়িত্বে এসেছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে কল্যাণময় জানালেন, রামানুজ সঠিক দায়িত্বই পেয়েছেন। একইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কল্যাণময়ের আশা, পর্ষদ কলঙ্কমুক্ত হবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, বিদায়ের দিনে মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম বললেন না।
স্কুল শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি হওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটি জানায়, কল্যাণময়ের নির্দেশেই বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল। কল্যাণময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপরই কল্যাণময়ের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। এরপরই মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতির নাম ঘোষিত হয়। তবে বিদায়ী পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ‘নিয়ম মেনেই আমাকে সরতে হয়েছে।’ জানা যাচ্ছে, ৬৮ বছর পর্যন্ত কার্যকালের মেয়াদ হলেও এক বছরের বেশি সময় কল্যাণময়বাবুকে অতিরিক্ত দায়িত্বভার সামলাতে হয়েছে। এদিকে নতুন পর্ষদ সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে রামানুজবাবু জানান, ‘এতদিন অ্যাকাডেমিক পদে ছিলাম। এখন প্রশাসনিক পদে। আশা করি ভালোভাবেই কাজটা করতে পারব।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ধন্যবাদ জানান কল্যাণময়বাবু। তাঁর কথায়, ‘দশ বছর কাজ করেছি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ধন্যবাদ।’ তবে যার শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কল্যাণময়বাবু পর্ষদের সভাপতি ছিলেন, সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করলেন না তিনি।