ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কলকাতার গোয়েন্দাপ্রধান রূপেশ কুমার বলেন, আর্থিক সমস্যার জেরে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পরিবারের ৬ সদস্য। তাদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হলেও বাকিরা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন - জানা গেল ট্যাংরায় নিহতদের নাম, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব
পড়তে থাকুন - ওসিকে পিটিয়ে গ্রেফতার আরেক ওসি, চাঞ্চল্য পুলিশমহলে
রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, বুধবার ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ বাইপাসে অভিষিক্তার কাছে একটি বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি পিলারে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। আরোহীরা গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রসূন দে, প্রণয় দে ও এক কিশোর। এদের মধ্যে প্রসূন কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন। তিনি জানান, তাদের বাড়িতে আরও ৩ জনের দেহ রয়েছে। খবর পেয়ে সকালে সেখানে পৌঁছন ট্যাংরা থানার এক আধিকারিক। তিনিই প্রথম ২ মহিলা ও ১ কিশোরীর দেহ দেখতে পান।
রূপেশ কুমার আরও জানিয়েছেন, দে পরিবারের চামড়ার ব্যবসা ছিল। ব্যবসায় কোনও আর্থিক সমস্যা হওয়ায় তারা এই পথ বেছে নেন বলে দাবি করেছেন প্রসূন। পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়ে আত্মঘাতী হন পরিবারের মহিলা সদস্যরা। এর পর পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য স্কুটার দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা করেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুরোটাই প্রসূনবাবুর দাবি। ঘটনার তদন্ত করে এর সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে। খতিয়ে দেখা হবে বাড়িতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।
আরও পড়ুন - স্কুলের মধ্যে ২ ছাত্রের মারামারি, সহপাঠীর ঘুসিতে মৃত্যু হল ১ জনের
ওদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দে পরিবারে ভাইদের মধ্যে খুবই সদ্ভাব ছিল। বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। ছেলের বয়স ১৬। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। তার বয়স ১৩ বছর।