করোনা আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে মেলেনি ঠাঁই। বাড়িতেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর পর বৃদ্ধার দেহ সৎকারেও হয়রানির মুখে পরিবার। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার কেষ্টপুরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উষারানি মণ্ডল (৭৫) নামে ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর পর শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ তাঁর দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যায় প্রশাসন। ততক্ষণে কেটে গিয়েছে প্রায় ১৯ ঘণ্টা।
বিধাননগর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উষারানিদেবী কয়েকদিন ধরে করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর পর কলকাতার কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করতে পারেনি তাঁর পরিবারের লোকেরা। ওদিকে ক্রমশ খারাপ হতে থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিবারের দাবি, এর পর শুরু হয় নতুন হয়রানি। থানা-পুলিশ-কাউন্সিলর সবাইকে ফোন করেও দেহ সৎকারের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। সারা রাত বাড়িতেই পড়ে থাকে উষারানিদেবীর দেহ। শুক্রবার বেলা বাড়লে শুরু হয় উদ্যোগ। বেলা ১২.৩০ মিনিট নাগাদ পুলিশের উদ্যোগে তাঁর সমরপল্লির বাড়িতে পৌঁছয় শববাহী গাড়ি। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে বেলা ১টার কিছু পর দেহ নিয়ে রওনা দেন সৎকারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।