মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এক তরুণী। তিনি সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের ছাত্রী ছিলেন। আট দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার তাঁরই দেহ মিলল ফরাক্কার গঙ্গার ঘাটে। ওই ছাত্রীর বয়স ২০ বছর। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা পরিষ্কার নয়। এদিকে পরিবারের দাবি, তাদের কাছে ফোন এসেছিল। ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই এই ঘটনা হল।
ওই ছাত্রী ঝাড়খণ্ডের দুমকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করতেন। ৫ জানুয়ারি কুলিক এক্সপ্রেসে চড়ে দুমকায় যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কথা ছিল কুলিক এক্সপ্রেসে তিনি রামপুরহাটে যাবেন। সেখান থেকে ট্রেন করে দুমকা যাবেন। কিন্তু পথে কী হল?
পরিবারে দাবি ওই রাতে আটটার সময়ও কথা হয়েছিল পরিবারের সঙ্গে। মায়ের সঙ্গে। তখন বলেছিল মালদায় নেমে টিফিন খাবে। রামপুরহাটে ভাত খাবে। এরপর কী যে ঘটল।
এদিকে বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়েছিল ফরাক্কা ব্রিজের কাছে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর সেই দেহ উদ্ধার হল। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তার। রহস্য় চরমে। ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।