আজ একুশে জুলাই, শহীদ দিবস। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কলকাতায় আসা শুরু করেছেন গত দু-তিন দিন ধরে। বাসে, ট্রেনে অথবা অন্যান্য গণ পরিবহণের মাধ্যমে তারা কলকাতায় আসছেন। তবে সিংহভাগ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আসছেন ট্রেনে চড়ে। শিয়ালদা বা হাওড়া স্টেশন হয়ে মিছিল করে কাতারে কাতারে তারা পৌঁছচ্ছেন ধর্মতলায়। আজ সকাল থেকেই শিয়ালদা স্টেশনে প্রতিটি ট্রেন থেকে প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থককে নামতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। ঠিক সেই সময় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শিয়ালদা স্টেশনে। একটি পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়াল শিয়ালদায়।
আরও পড়ুন: ২১-এর সকালে ২৬-এর 'প্রতিপক্ষ' চিহ্নিত করলেন অভিষেক, বার্তা তৃণমূল সরকারকে
রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদা মেইন লাইনের সামনেই এদিন সকালে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, তারপরেও ব্যাগটি কেউ নিয়ে না যাওয়ায় সন্দেহ হয় ব্যবসায়ীদের। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় আরপিএফ। এরপরেই পরিত্যক্ত ব্যাগটিতে বিস্ফোরক কিছু আছে কি না তা জানতে ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকে। সেইমতো সেখানে পৌঁছে ব্যাগটি উদ্ধার করে পরীক্ষা করতে শুরু করে বম্ব স্কোয়াড। তাকে ঘিরে সেখানে ভিড় জমে কৌতূহলী যাত্রীদের। যদি আরপিএফ এবং জিআরপি যাত্রীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাগ থেকে বিস্ফোরক জাতীয় কোনও পদার্থ বা সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ উপলক্ষে শহরজুড়ে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। ধর্মতলাতে রাখা হয়েছে ওয়ারলেস অন হুইলস। ধর্মতলার কাছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশ। এছাড়াও শহরজুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সকাল থেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও, বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় হয়েছে। তাদের থাকারও ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি, শিয়ালদা স্টেশন চত্বর সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফে মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এই ক্যাম্প থেকে তাদের ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।