বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > রাজ্যে এবার ‘‌হাড় ব্যাঙ্ক’‌ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনে পড়ল একাধিক আবেদন

রাজ্যে এবার ‘‌হাড় ব্যাঙ্ক’‌ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনে পড়ল একাধিক আবেদন

হাড়ের চিকিৎসা

এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও এই প্রকল্প নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। কারণ আগে থেকেই বিষয়টি বাইরে চলে আসুক তা চাইছে না স্বাস্থ্য দফতর। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, হাড় ব্যাঙ্ক চালু করার জন্য কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে। সিনিয়র চিকিৎসক এবং কর্তারা সবটা খতিয়ে দেখবেন।

এবার রাজ্যে বোন ব্যাঙ্ক বা হাড়ের ব্যাঙ্ক গড়ার কাজ শুরু হতে চলেছে বলে খবর। এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই স্কিন ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। এবার হাড়ের ব্যাঙ্ক প্রকল্প শীঘ্র আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। এই বিষয়টি নিয়ে আবেদন জমা পড়তে শুরু করেছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরে। একটি বেসরকারি হাসপাতাল এই আবেদন ইতিমধ্যেই করেছে। আবার রাজ্যের এক নম্বর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম–এর অর্থোপেডিক বিভাগও হাড় (‌বোন)‌ ব্যাঙ্ক চালু করার আবেদন করেছে। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। এবার তার বাস্তব রূপ নিয়ে কথা চলছে।

কোন কাজে লাগবে হাড় ব্যাঙ্ক? এই বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, হাড়ের ক্যান্সার থেকে শুরু করে বোন টিউমারের চিকিৎসায় এই ব্যাঙ্ক অত্যন্ত কাজে আসবে। মানুষ শারীরিকভাবে উপকৃত হবেন। আর চিকিৎসা ব্যবস্থায় দিগন্ত খুলে যাবে। দুটি হাড়ের মাঝের অংশের ফাঁক বন্ধ করতে, এবং হাড় নষ্ট এবং হাড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই ব্যাঙ্কে সংরক্ষিত হাড় দিয়ে সেখানে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে।

কেমন করে সংগ্রহ হবে হাড়? এটা খুব কঠিন কাজ নয়। তবে বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়া অঙ্গদাতা এবং আরও অন্যান্য উপায়ে হাড় সংগ্রহ করে তা বোন ব্যাঙ্কে সংরক্ষিত করে রাখা সম্ভব। এছাড়া অর্থোপেডিক বিভাগে প্রায়ই হাঁটু, কোমর এবং অস্থিসন্ধির নানা জায়গার হাড় প্রতিস্থাপন করা হয়। এখন মানুষের হাড় বাদ দিয়ে ইমপ্ল্যান্ট বসানো হয়। কিন্তু এই ব্যাঙ্ক হয়ে গেলে তা আর করতে হবে না। এমনকী তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এই হাড় আধুনিক পরিকাঠামোর মধ্যে সংরক্ষিত করে রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুন:‌ রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে মতামত চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভায় কবে বসছে আলোচনাসভা?

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও এই প্রকল্প নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। কারণ আগে থেকেই বিষয়টি বাইরে চলে আসুক তা চাইছে না স্বাস্থ্য দফতর। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, হাড় ব্যাঙ্ক চালু করার জন্য কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে। সিনিয়র চিকিৎসক এবং কর্তারা সবটা খতিয়ে দেখবেন। এই বিষয়টি নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডাঃ মুকুল ভট্টাচার্য বলেন, ‘আধুনিক হাড়ের চিকিৎসায় বোন ব্যাঙ্কের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা আছে।’

বন্ধ করুন