চাকরির দাবিতে বিধাননগরের করুণাময়ীতে অবস্থানরত যুবক যুবতীদের দাবি আইনসম্মত নয়। এমনই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পালের পাশে দাঁড়ান তিনি।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্যবাবু প্রশ্ন করেন, তাঁদের দাবি বৈধ হলে চাকরিপ্রার্থীরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন? কারণ তাঁরা জানেন, আদালতে গেলে তাদের দাবি খারিজ হয়ে যাবে। তাই ধরনায় বসে দাবি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে সংসদের কাজ ব্যহত হচ্ছে। সংসদের কর্মীরা ঢুকতে বেরোতে পারছেন না। তাঁদের ওপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেজন্যই আন্দোলনের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানি চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নেট, সেট বা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মাধ্যমে যারা তালিকাভুক্ত হন তাঁরাও সবাই নিয়োগ পান না। এক্ষেত্রে সংসদ সভাপতি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। একদল লোক রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চায়। নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যহত করার জন্যই কি এই আন্দোলন।
বুধবার ৪৮ ঘণ্টা পার করেছে ২০১৪ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেডদের আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের দাবি, পর্ষদের দফতরের দরজা তারা আটকাননি। পর্ষদের কর্মীরা অবাধে চলাফেরা করছেন। এমনকী তারা কোনও লাউড স্পিকারও ব্যবহার করছেন না। তাহলে সরকারের সমস্যাটা কোথায়?