আন্দোলন করলে কি সবাইকে চাকরি দিতে হবে? সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কার্যত চাকরির দাবিতে আন্দোলনের সারবত্তা নিয়েই এবার প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর। তিনি বলেন, অতীতে যা ভুল হয়েছে তার জন্য় যদি সামনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যহত হয় তবে আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে কী জবাব দেব? বিরোধী দলের একাংশের এনিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।
এরপরই তিনি বলেন, …বিষয়টি তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে, বিরোধী দল ঠিক, মিডিয়া ঠিক, নিশ্চয়ই বিচারব্যবস্থা ঠিক, যে সরকার আছে সে ভুল। এনিয়ে সমাজে নেগেটিভিটি তৈরি হচ্ছে। এটা তো হতে পারে না যে আন্দোলন করলেই সবাইকে চাকরি দিতে হবে। আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির সম্পর্কটা ঠিক কী? চাকরি তো যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে। চাকরি তো মেধার ভিত্তিতে হবে। ধরুন কেউ নেট পাশ করলেন সবাই কি কলেজে চাকরি পান? যারা জয়েন্টে পাশ করেন সবাই কি ডাক্তারিতে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পান? এটাই তো নিয়ম। এটাই তো সকলে জানেন। জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু।
এদিকে একদিকে বঞ্চনার অভিযোগে চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলন। দিনের পর দিন ধর্নায় বসে রয়েছেন তারা। পুলিশ তুলে দেওয়ার পরেও ফের আন্দোলনের রাস্তায় তাঁরা। চাকরির দাবিতে অনড়। এবার তাঁদের সেই আন্দোলনকে কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এনিয়ে এবার পালটা তোপ দাগা শুরু করেছেন বিরোধীরা।