নির্বাচন চলাকালীন একাধিক রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন করোনয় প্রাণও হারিয়েছেন। তবে নির্বাচনী পর্ব শেষ হলেও করোনার প্রকোপ থামেনি। এবার এই ভাইরাসের কবলে পড়লেন বিগত দশ বছর ধরে রাজ্যের মন্ত্রী থাকা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। গত মঙ্গলবারই করোনা পরীক্ষা করান ব্রাঁত্য বসু। সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার থেকেই সেল্ফ আইসোলেশনে আছেন তিনি।
গত প্রায় দুই মাস ধরে নির্বাচনী প্রচার এবং দলীয় কাজ্যে ব্যস্ত ছিলেন ব্রাত্য বসু। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেরদিন, অর্থাত্ সোমবার থেকেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। দেখা যায় নানা উপসম। এরপর মঙ্গলবার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি। সেদিন থেকেই নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন ব্রাত্য বসু।
রবিবার ভোটে জিতে রাজ্যে টানা তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করা নিশ্চিত করে তৃণমূল। তৃণমূলের বিজপয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন ব্রাত্য বসুও। দমদম আসন থেকে টানা তৃতীয় বার নির্বাচিত হন তিনি। তবে এরপর দিনই তাঁর শরীর খারাপ হয়। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৩২ জন বিধায়ক শপথ নিলেও ব্রাত্য বসু বিধানসভায় যাননি। তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে এই বিষয়ে জানান হয় যে সু্স্থ হয়ে শপথগ্রহণ করবেন ব্রাত্য বসু।
বিগত সরকারের আমলে তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং পর্যটনের মতো একাধিক দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন ব্রাত্য বসু। হ্যাটট্রিকের নজির গড়া তৃণমূলের সরকারেও তাঁকে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে বলে আশা করা যায়। সোমবারই নয়া মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মন্ত্রী হলেও সোমবার হয়ত তাঁর শারীরিক কারণের জন্য শপথ নেওয়া হবে না অন্যদের সঙ্গে।