বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের এক্তিয়ার নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে কান মলা খেয়ে এসেছেন। রাজ্যপাল ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করায় সাংবাদিক বৈঠক পেতে বসে তাঁকে গালমন্দ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ‘জেমস বন্ড’ থেকে ‘রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিদূষক’ তাঁকে কোনও কিছু বলতেই ছাড়লেন না মন্ত্রী। এমনকী ফের আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন তিনি।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের ওপর গায়ের ঝাল মেটাতে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করে, তাঁদের তোয়াক্কা না করে, রাজ্যপাল একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কখনও সেই উপাচার্যকে তিনি নিজেই বিতাড়িত করছেন, কখনও আবার তিনি নতুন উপাচার্য নিয়ে আসছেন। কখনও তাঁকেও আবার তাঁর পছন্দ হচ্ছে না।’ ধনখড় জমানার কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘জগদীপ ধনখড় যে সময়ে রাজ্যপাল ছিলেন, তখন অন্ততপক্ষে আলোচনার পরিসর ছিল। কিন্তু এখনকার রাজ্যপাল তো জেমস বন্ডের মতো আচরণ করছেন। বর্তমান রাজ্যপাল জেমন বন্ডের মতোই নিঃশব্দ প্রহেলিকার মতো কাজ করে চলেছেন।’
রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে ব্রাত্যর মন্তব্য, আমার তো মনে হয় কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় শ্রেষ্ঠ বিদূষকটির আত্মাকে পুনর্জাগ্রত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে উপাচার্য নিয়োগ আইনবিরুদ্ধ। আমরা এই নিয়ে আদালতে যাব’। শিক্ষামন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, যে সব অধ্যাপকরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেন তাদের বহিষ্কারের হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা দেশে প্রথম দিকে রয়েছে। সেই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর এই রাজ্যপাল।
এমনকী রাজ্যপালকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে আসুন। উচ্চশিক্ষার সম্মান নষ্ট হচ্ছে।’