আজ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই–এর মেগা সমাবেশ চলছে ব্রিগেডে। এই সমাবেশকে ঘিরে দূর দূরান্ত থেকে পৌঁছেছেন বহু মানুষ। সকাল থেকেই এখানে ভিড় করতে দেখা যায় সিপিএমের যুব কর্মী সমর্থকদের। রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টানা ৫০ দিন ধরে ইনসাফ যাত্রা করে আসছে ডিওয়াইএফআই। আজ তার পরীক্ষা ব্রিগেডে। সকাল থেকেই ব্রিগেডগামী হতে দেখা যায় বহু কর্মী সমর্থককে। শনিবার রাতে ব্রিগেড সমাবেশ সফল হবে বলেই মীনাক্ষীদের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিওয়াইএফআই–এর প্রতিষ্ঠাতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ‘সিট তো সেই গিয়ে শূন্য’, ইনসাফের ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করলেন কুণাল–দিলীপ
শনিবার সন্ধ্যায় মীনাক্ষীরা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ডিএওয়াইএফআই–এর যে নেতৃত্ব বুদ্ধবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন সেই দলে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্ত সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখান থেকে বেরিয়ে বুদ্ধবাবু তরুণদের জন্য কী বার্তা দিয়েছেন? তা জানিয়েছেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি। উনি আমাদের পূর্বসূরী। উনি মেহনতি মানুষের আশা ভরসা। ডিওয়াইএফআইয়ের দাবি দাওয়া এবং ইনসাফ যাত্রা সম্পর্কে ওনাকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন ব্রিগেড খুব ভালো হবে।’ এদিন বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেছিলেন, খুব বড় মাপের সমাবেশ হবে। মীনাক্ষী জানান, বুদ্ধবাবু হলেন তাঁদের অনুপ্রেরণা। তিনিই তাঁদের সাহস দেন। মীনাক্ষীর কথায়, ‘বুদ্ধবাবু বলেছেন বড় ব্রিগেড এবং ভালো ব্রিগেড হবে।’ তাঁর এই কথাটাই অনুপ্রেরণা বলে জানান মীনাক্ষী।
প্রসঙ্গত, আজ সকাল থেকেই সমাবেশকে ঘিরে ব্রিগেডে মুখী হতে দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে। বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে শুধু দেখা যায় লাল পতাকা। দেড় দশক পরে ডিওয়াইএফআই–এর ব্যানারে ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমাবেশকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন বাম নেতৃত্ব। তাদের আশা এবারের ব্রিগেডে রেকর্ড ভিড় হবে। প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশ সিপিএমকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, বামেদের ব্রিগেডে ভিড় হলেও তাতে লাভ কিছুই হয় না।