একদিকে মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান আসায় বিপর্যয় নেমে এসেছে জলপাইগুড়িতে। অন্যদিকে আবার বিজয়া দশমীর দিন দুই বাসের রেষারেষির জেরে প্রাণ গেল একজনের। আর তার জেরে আহত হয়েছেন একই পরিবারের একাধিক সদস্য। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বিদ্যাপতি সেতুতে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দশমীর দিনে কেন এমন রেষারেষি হল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে বিদ্যাপতি সেতুতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিজয়া দশমীতেও রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছিল। তার সঙ্গে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালাও চলছিল গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। পুজোর শেষ দিন হলেও মানুষের ভিড় হচ্ছিল রাস্তায়। এই অবস্থায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তাঁরা বিদ্যাপতি সেতু দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখনই রেষারেষি করে চলছিল দুটো বাস। আর তার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে পথচারীদের। বাসের ধাক্কায় আহতের হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। তাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে।
আর কী জানা যাচ্ছে? একই রুটের দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। তখন একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর তারপর সজোরে একের পর এক ধাক্কা মারে পথচারীদের। তার জেরে গুরুতর আহত হন একই পরিবারের কয়েকজন সদস্যরা। তখন তাঁদের উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় এক যুবতীর। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ গোটা পরিবার।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? বাসের রেষারেষিতে এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের কয়েকজন তাতে আহত হন। সেখানে মৃতের নাম অদিতি গুপ্ত (১৮)। বাকি আহতরা হলেন নীলেশ গুপ্ত (১৬), রাহুল কুমার প্রসাদ (৩০), নন্দিনী প্রসাদ (২৩), ঋষি গুপ্ত (১৫), রোহিত গুপ্ত (১৮)। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে ঘাতক বাসটিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। একটি বাস দ্রুত গতিতে এসে ৬ জনকে ধাক্কা মারে। তাতে মারা যান অদিতি গুপ্ত (১৮)। আহত হন তাঁর পরিবারের পাঁচজন সদস্য। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে এক মহিলা এবং এক পুরুষ সেখানে মারা যান।