আবার নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাধিক রুটে বাস ও মিনিবাস পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল মালিকপক্ষ। তাতেই বিপাকে পড়তে চলেছেন নিত্যযাত্রীরা। বাসমালিক সংগঠনের দাবি, লকডাউনের পরে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। তার উপরে দাম বেড়েছে ডিজেলের। এই পরিস্থিতিতে বাস চালালে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভাড়া বৃদ্ধি না হলে বাস চালানো সম্ভব নয়।
এদিকে বাসে এখন বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে রোজ অশান্তি শুরু হয়েছে। যাত্রী বাস কন্ডাক্টর অশান্তি রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের ভাড়া বাড়লে অশান্তির শেষ থাকবে না। কিন্তু বাসমালিক সংগঠনের দাবি, এইভাবে বাস চালানো সম্ভব নয়। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে রুটগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে চলেছে পরিষেবা সেগুলি হল– ১২ রাজাবাগান–রাজাবাজার, ১২-এ রাজাবাগান–হাওড়া, ১২বি কমল টকিজ–এসপ্লানেড, ১২এডি আক্রাফটক–হাওড়া, ৩৯ পিকনিক গার্ডেন– হাইকোর্ট, ৩৯এ/২ হাওড়া স্টেশন–ভোজেরহাট এবং ৩৯ হাওড়া স্টেশন–ভিআইপি বাজার।
করোনার জেরে লকডাউনের পর পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব প্রদীপ নারায়ণ বসুর। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে বাসে দৈনিক যাত্রী উঠতেন ৭০০ থেকে ৮০০। মিনিবাসে ৫০০ থেকে ৫৩০। আর লকডাউনের পরে বাসে এখন ওঠেন ৪০০ থেকে ৫০০ জন যাত্রী। মিনিবাসে ২০০ থেকে ২৫০ জন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিজেলের দাম। কম ভাড়ায় বাস চালিয়ে লাভ হচ্ছে না। তাই পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হলাম।’