বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর থেকেই রাস্তায় নেমেছে বেসরকারি বাস। আর তারপর থেকেই যাত্রীদের অভিযোগ, বেলাগাম ভাড়া নিচ্ছে বেসরকারি বাসগুলি। এবার তারাই ভাড়া বৃদ্ধি না করলে বাস চালানো সম্ভব নয় বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকী ঋণ দিয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। এমনই দাবি বাস মালিক সংগঠনগুলির। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। যুক্তিযুক্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হোক। বাস মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হোক।’ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে নবান্নে চিঠি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এদিন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক রাজ্য সরকার। আমরা ভর্তুকি চাই না। স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হোক বাস মালিকদের। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ দেওয়া হোক।’ এই দাবি নিয়ে এদিন নবান্নে একটি চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
যদিও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, বাস ভাড়া বাড়ছে না এখন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বাস মালিক সংগঠনগুলি। সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাস–মিনিবাস সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়। তখনই ফিরহাদ হাকিম নবান্নে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। জানা যায়, এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়ছে না। পালটা সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়। এবার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
রাজ্য সরকার রোড ট্যাক্স মকুব করেছে। এই বিষয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে। তাই ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করুক রাজ্য সরকার। আমরাও চাই বাস–মিনিবাস রাস্তায় নামুক। বাস তো আর জলে চলে না। পেট্রোল–ডিজেলের এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে আগের ভাড়ায় বাস নামানো অসম্ভব।’ ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে রাজ্য সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলত, আগামী দিনে বেসরকারি বাস রাস্তায় কতটা নামবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।