ভাড়া বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলে আসছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে এমনিতেই ধুঁকছে বেসরকারি বাস। তার উপর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ডিজেলের মূল্য। এই অবস্থায় ভাড়া বাড়ানো ছাড়া তাঁদের কাছে কোনও উপায় নেই। যদিও বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়াতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। তাই বিকল্প রাস্তা বের করতে বুধবার বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দীর্ঘ আলোচনার পরেও বুধবার কোনও সমাধান সূত্র বের হল না।
ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে এদিনের বুধবার বেসরকারি বাসগুলিকে ব্যাটারি বা সিএনজিতে পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। মন্ত্রীর মতে, এর ফলে জ্বালানি তেলের জন্য যে খরচ হয় তা অনেকটাই বেঁচে যাবে। যদিও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বেসরকারি বাস মালিকরা। কারণ বহু বাস রয়েছে যেগুলি ১০ থেকে ১২ বছরের পুরনো। সে ক্ষেত্রে সমস্ত বাসগুলোতে ব্যাটারি বা সিএনজি করতে গেলে সে ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেশি হবে। তাছাড়া আইনগত এবং প্রযুক্তিগত অনেক সমস্যা রয়েছে। যার ফলে লোন পেতে অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। ফলে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতেই অনড় রয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ।
ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে এর আগেও দফায় দফায় বেসরকারি বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। বুধবার বৈঠক শেষে বাস মালিকরা জানান, আগামী ডিসেম্বরে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী সঙ্গে আবার তাদের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে কোনও না কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশা বেসরকারি বাস মালিকদের।
বাস মালিকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ লকডাউনের ফলে প্রায় ১,০০০ টি বাস এখনও বসে রয়েছে। ওই সমস্ত বাসের সিএস রিনিউ না করার ফলে প্রচুর পরিমাণে জরিমানার টাকা জমে গিয়েছে। বৈঠকে রাজ্য সরকারের কাছে ওই সমস্ত বাসের জরিমানা মূকুব করার আবেদন জানান বাস মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, জরিমানা মুকুব করা হলে আরও বেশি সংখ্যায় বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব হবে।