ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিনি বাস দুর্ঘটনার পরেই বেসরকারি বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে কথা দিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরিবহনমন্ত্রী কাছে নির্দেশ পাওয়ার পরেই শহরের রাস্তায় সিএফ ছাড়া চলা বাসগুলিকে ধরপাকড় শুরু করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।
সোমবার থেকে ধরপাকড় চালানোর পর এই ৪৫টি বাসকে আটক করে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। যার মধ্যে বেশকিছু বাসের যেমন ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না তেমনি, অনেক বাসের বীমার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাস মালিকদের সংগঠনের দাবি, লকডাউনের পর থেকেই জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু, সেই হারে ভাড়া বৃদ্ধি পায়নি। যার ফলে লোকসানে চলছে বাস। তার ওপর চালক কর্মীদের বেতনও দিতে হয় তাদের। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে নিয়মিত বাসের রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।
সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী নতুন বাস মিনিবাস বা অন্যান্য গাড়ি ক্ষেত্রে প্রথম আট বছরে দু'বার ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হয় এরপর প্রতিবছর ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। বাস মিনিবাস এর ক্ষেত্রে ফিটনেস সার্টিফিকেট বাবদ খরচ ৮৪০ টাকা। তবে বাস মালিকদের দাবি শুধু মাত্র ৮৪০ টাকায় নয়, তারও বেশি খরচ হয়ে যায় অনেক সময়। এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পরীক্ষার সময় অনেক যন্ত্রাংশ, টায়ার প্রভৃতি মেরামত করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তার জন্য আরও অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।
এই অবস্থায় টাকার অভাবে বাসের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা, ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এই দাবি করেছেন।