৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাস, মিনিবাসের কর মকুব করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ছাড় দেওয়া হয়েছে পারমিট ফি–তেও। বেজায় স্বস্তি পেয়েছেন বাসমালিকরা। কিন্তু একটা সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বাসে যাত্রী হচ্ছে, কিন্তু সেই তুলনায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে কম। আর তার জেরে দিনের পর দিন আয় কমছে বাসমালিকের। এর নেপথ্যেও রয়েছে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আতঙ্ক।
আনলক পর্বে বেশিরভাগ কর্মস্থলই চালু রয়েছে। আগের থেকে বাসে যাত্রীদের সংখ্যাও বেড়েছে। সারাদিন বহু যাত্রীর সংস্পর্শে আসেন বাস কন্ডাক্টাররা। টিকিট দেওয়া–নেওয়া হয়। আর সেখানেই থেকে যাচ্ছে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ভয়। তাই বাসভাড়া মিটিয়ে দিলেও টিকিট বা ফেরত পাওয়া খুচরো পয়সাও নিতে চাইছেন না অধিকাংশ যাত্রী। অবিক্রিত সেই টিকিট থেকে যাচ্ছে বাস কন্ডাক্টারের কাছেই। আর বাসচালক ও কন্ডাক্টার মিলে যাত্রীদের দেওয়া ভাড়া পকেটস্থ করছেন। টাকার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না বাসমালিকরা।
যদিও সুযোগের এই সদব্যবহারের খবর বাসমালিকদের কানে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে। তাঁদের আক্ষেপ, যাত্রীসুরক্ষার কথা ভেবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোজের টিকিট রোজ স্যানিটাইজ করে কন্ডাক্টরদের দেওয়া হয়। তবুও সংক্রমণের আতঙ্কে এই দুরবস্থা। তাই এবার টিকিট স্যানিটাইজ করার ব্যাপারে যাত্রীদের অবগত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসমালিকদের সংগঠন। বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাসে লাগানো হয়েছে একাধিক পোস্টার। তাতে বাসমালিকদের আর্জি, ‘দয়া করে সঠিক ভাড়া দিয়ে স্যানিটাইজ করা টিকিট সংগ্রহ করুন।’ এখন এই আবেদনে বাসযাত্রীরা সাড়া দেবেন কিনা এটাই দেখার।