পণ্ড হল সরকারের সব উদ্যোগ। ভর্তুকির টাকায় বাস চালাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন বাস মালিকরা। রবিবার বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট ফোরাম অফ বাস সিন্ডিকেটের তরফে জানানো হয়, ভাড়া না বাড়ালে কোন পরিস্থিতিতেই রাস্তায় বাস নামাবে না তারা। পলে পয়লা জুলাই থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে যে আশাটুকু জেলে গেছিল তাতে জল পড়লো অচিরেই।
বাসপিছু দিনে ৫০০ টাকা ভর্তুকিতে বাস চালানো যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল মালিকদের সংগঠন বাস এন্ড মিনি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সিদ্ধান্ত জানাল মালিকদের আরেকটি সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে বাস চালাতে গিয়ে প্রতিদিন আড়াই হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এই লোকসান সামলে ৫০০ টাকা ভর্তুকি চালানো সম্ভব না।
গত শুক্রবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাস ভাড়া না-বাড়িয়ে বাস মালিকদের ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাসপিছু মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেবে পরিবহণ দফতর। আপাতত তিনমাস মিলবে এই ভর্তুকি। অর্থাৎ প্রতিদিন ১টি বাসের জন্য ৫০০ টাকা করে ভর্তুকি পাবেন বাস মালিকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরদিন শনিবার বাস মালিকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই ভর্তুকিতে বাস চালানো সম্ভব নয়। কারণ রাস্তায় বাস নামলেই কেস দেবে পুলিশ। ভর্তুকির ৫০০ টাকা সেখানেই খরচ হয়ে যাবে। তাছাড়া ভাড়া বৃদ্ধির বিকল্প কখনো ভর্তুকি হতে পারে না।
ওদিকে সরকার পড়েছে শাঁখের করাতে। বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি যে অমূলক নয় তা বিলক্ষণ জানেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের উপর চাপ বাড়াতে চায় না রাজ্য সরকার। তাছাড়া লোকাল ট্রেন চললে বাসে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। একবার ভাড়া বৃদ্ধির পর তখন আর বাস ভাড়া কমানোর প্রস্তাব মানবেন না মালিকরা। তাই আপাতত ভর্তুকি দিয়ে কিছুদিন বাস চালু রাখতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সাড়া দিলেন না বাস মালিকরা।