রাজ্য কথা রেখেছে। এবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কর মকুবের আবেদন সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করায় রাজ্য সরকারের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। এবার বাসভাড়া বৃদ্ধি, ডিজেলের দাম কমানো, ব্যাঙ্কের কিস্তি মকুব–সহ একাধিক দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সেই চিঠি রাজভবনে গিয়ে দিয়ে এসেছেন বাসমালিকরা।
তবে বাসভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে এদিনও তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকলেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৭৮ টাকা। এমন সময়ে কম যাত্রী নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে গেলে ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। ভাড়া বৃদ্ধি না হলে এত খরচ চালানো অসম্ভব।’
করোনার জেরে লকডাউন–আনলকের টানাপোড়েনে বাসমালিকদের রোজগারে ভাটা পড়ে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ১৫ হাজারি ভর্তুকি নিয়ে পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের কাছে কর মকুবের আবেদন জানায় বাসমালিকদের সংগঠনগুলি। সেই আবেদন মেনেই বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাস ও মিনিবাসের কর মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এমন বাস ও মিনিবাসে যা কর ধার্য হয়ে থাকে তা ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মুকুব করার কথা ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্টসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরো বছরের পারমিট ফি–ও মুকুব করা হয়েছে।
এ দিকে, কেন্দ্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ বসুও। তিনি বলেন, ‘কর্মহীন পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য প্যাকেজের দাবি জানানো হয়েছে। শীঘ্রই বাকি দাবি আদায়ে রাস্তায় নামব।’