এপ্রিল মাস থেকে ভোটের কাজ শুরু হতেই বেসরকারি বাস, মিনিবাস নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ১ জুন শেষ দফার ভোট হবে কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জানা গিয়েছে, ২৭ ও ২৮ তারিখ থেকে কলকাতা শহর ও শহরতলির মধ্যে যে সব বাস, মিনিবাস চলাচল তার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত তুলে নেওয়া হবে বলে খবর। এর ফলে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাস মালিক সংগঠনগুলি।
জানা গিয়েছে, শুধু নির্বাচন কমিশন নয় শেষ দফার নির্বাচনে বাস নিচ্ছে লালবাজার, স্থানীয় থানা এবং মোটর ভেহিকেলসও। তাই আগামী দুসপ্তাহ রাস্তায় বাস, মিনিবাস কম পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। এর জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মালিক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন। শিয়রে ভোট, আসছে বর্ষা, শঙ্কা ‘রোমাল’-এর, শহরের জল নিকাশি নিয়ে বিশেষ বৈঠক
কবে স্বাভাবিক হবে পরিষেবা?
১ জুন শেষ পর্বের ভোট হয়ে গেল কি সব গাড়ি বাসমালিকদের কাছে ফিরে আসবে? তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ, ভোটগণনার আগে ভোটকর্মীদের জন্য পরিবহণের বন্দোবস্ত করতেও হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। এই অবস্থায় কলকাতা শহর ও শহরতলিতে আগামী কয়েক দিন যানবাহনের আকাল থাকবে বলেই মনে করছে পরিবহণ সংগঠনগুলি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় পরিবহণ দফতরের কিছু করার নেই বলেই দফতরের একটি সূত্র বলছে।
এর জন্য আগাম ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যাত্রী সাধারণের কাছে ক্ষমা চাইছি। কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করা আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভব নয়।’ তাঁর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৫০ শতাংশ বাস নেওয়ার জন্য কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সব বাসই ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
গরমের ছুটির পর জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমস্ত স্কুল খুলে যাবে। ফলে বাসের চাহিদা আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে বাস রাস্তায় বাস না থাকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে পড়ুয়াদের। গণনা পর্ব শেষ হওয়ার পর আবার স্বাভাবিক হবে পরিষেবা বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন। ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা গোয়েন্দা রিপোর্টে, রাজ্যে নির্বাচন মিটলেও থাকবে বাহিনী