করোনা অতিমারি পর্বে দু'বছর বন্ধ ছিল দুর্গাপুজো। আর এ বছর বিধি নিষেধ না থাকায় দুর্গাপুজোকে ঘিরে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা গিয়েছে জনজোয়ার। শুধু যে মণ্ডপেই জনজোয়ার দেখা দিয়েছে তাই নয়, পুজোকে ঘিরে এবার বাণিজ্যের অঙ্ক বহুগুণে বেড়েছে। ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ী এবারে দুর্গাপুজোয় বাণিজ্যক্ষেত্রে লক্ষ্মী লাভ করেছেন গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এমনটাই জানাচ্ছে ফোরাম ফোর দুর্গোৎসব। তাদের তথ্য অনুযায়ী এ বছর দুর্গাপুজোয় রাজ্যের বাণিজ্যের অঙ্ক পৌঁছেছে ৫০ হাজার কোটি টাকায়।
অসামান্য স্টান্স, মমতার নাচ-ঢাক বাজানো - রেড রোডের কার্নিভালে জিতল দুর্গাপুজো
বাণিজ্যের পরিমাণ নিয়ে আইআইটি খড়গপুর, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইংল্যান্ডের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যৌথ সমীক্ষা করা হয়েছে। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা পর্বের আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর দুর্গাপুজোয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪ শতাংশ। ফোরাম ফোর দুর্গোৎসবের পক্ষ থেকে এই সমীক্ষা চালানো হয়। মূলত পুজোকে সামনে রেখে বিজ্ঞাপন, পোশাক খাবারের বিকিকিনি, মণ্ডপ সজ্জা, প্রতিমা তৈরি এসবের মাধ্যমে আয় বাড়ে। এবারও সেভাবে আয় বেড়েছে দুর্গাপুজোয়। পুজোর কয়েকদিন দোকানগুলিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। এমনকি রাত্রি ১২টা পর্যন্তও দোকান খোলা রাখতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে শহরের বড় বড় শপিংমলগুলিতে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
গত বছর ইউনেস্কোর তরফে কালচারাল হেরিটেজের বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে দুর্গাপুজো। তারপর এই প্রথম দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে বিশ্বের দরবারে এই দুর্গাপুজোকে পৌঁছে অনেক সহজ হয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফোরাম ফোর দুর্গাৎসবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পার্থ ঘোষ। তিনি জানান, শপিং মল ছাড়াও হোটেল-রেস্তোরাঁ, আবগারি সমস্ত ক্ষেত্রেই এ বছর ভালো ব্যবসা হয়েছে। ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।