চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়ে গেলেও আজ, বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে টাফ ফাইট হয়েছে। আর ব্যাপক হারে মানুষ বেরিয়ে এসে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। সদ্য লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। সেখানে মানুষজন ভোট দিয়েছেন। তারপর আবার বিধানসভার উপনির্বাচনে ভোট দিলেন আনন্দ সহকারেই। তবে তিন কেন্দ্রে ভাল পরিমাণ ভোট পড়লেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র। কারণ এখানে শতকরা ভোটের শতাংশ সবচেয়ে কম। যা দুই শিবিরকেই ভাবাচ্ছে।
এদিকে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের মোট হার ৬৬.৯৫ শতাংশ। এটা গড় হিসাবে উঠে এসেছে। কলকাতার মানিকতলা, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, নদিয়ার রানাঘাট (দক্ষিণ) এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মিলিয়ে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রায়গঞ্জে। ৭১.৯৯ শতাংশ। তালিকায় সবার পিছনে আছে মানিকতলা। এই কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৫৪.৯৮ শতাংশ। রানাঘাট (দক্ষিণ) ও বাগদা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৭০.৫৬ এবং ৬৮.৪৪ শতাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে শূন্য হয়েছিল মানিকতলা আসন। সাধনবাবুর ‘গড়’ বলে পরিচিত মানিকতলায় তাঁর স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে প্রার্থী করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: অসম সরকার ঘোষণা করল স্পেশাল ক্যাজুয়াল লিভ, সরকারি কর্মচারীরা দু’দিন পাবেন, কেন?
অন্যদিকে বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতেই উপনির্বাচন হয়েছে বিধায়করা দলবদল করায় এবং লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে। তাই বিধায়ক শূন্য ছিল—রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং বাগদা। নির্বাচন পর্বে বাগদা ও মানিকতলায় বিজেপি প্রার্থীকে শুনতে হয়েছে ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান। কাজের দিন হওয়ায় চাকরিজীবী মানুষের একটা বড় অংশ বুথমুখো হননি। তাই মানিকতলায় ভোটের হার কম। তবে বাকি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটের হার ভালই। আগামী ১৩ জুলাই এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।
এছাড়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাগদা কেন্দ্রে জয়ী বিশ্বজিৎ দাস এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী কৃষ্ণ কল্যাণী পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়ক রানাঘাটের মুকুটমণি অধিকারী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এই তিনজনকেই লোকসভায় প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশ্বজিৎ বনগাঁ, কৃষ্ণকল্যাণী রায়গঞ্জ এবং মুকুটমণি রানাঘাট কেন্দ্রে ঘাসফুলের প্রার্থী হন। বিধায়ক পদ থেকেও তাঁরা ইস্তফা দেন। তিনজনেই পরাজিত হন। বিধায়কপদ শূন্য হয়।