আজ, বুধবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়ে গিয়েছে৷ এটা যে হবে তা আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যাঁরা মন্ত্রী হলেন তাঁরা বেশিরভাগই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দু’দিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন সাজানো হয়েছিল। সেখানেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠরা জেলার সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান হন। এবার মন্ত্রিসভাতেও সেই ছায়া দেখা গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন তথ্য উঠে আসছে? বুধবার রাজভবনে নতুন ৭ মুখ–সহ মোট ৮ মন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করেন। নতুন আট মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন—উদয়ন গুহ, তাজমুল হোসেন, পার্থ ভৌমিক, প্রদীপ মজুমদার, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, বিপ্লব রায়চৌধুরী এবং সত্যজিৎ বর্মণ। তাঁরা রাজ্যপাল লা গণেশনের কাছে ধাপে ধাপে শপথ নেন। এখানে উদয়ন গুহ, তাজমুল হোসেন, পার্থ ভৌমিক, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, বিপ্লব রায়চৌধুরী অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আর প্রদীপ মজুমদার এবং সত্যজিৎ বর্মণ বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। প্রদীপ মজুমদার কৃষি উপদেষ্টা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও দল এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
কেমন সমীকরণ উঠে আসছে? এদিন শপথ নিতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল। পূর্ণমন্ত্রী হলেন, প্রদীপ মজুমদার, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ, বাবুল সুপ্রিয় এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেক্ষেত্রে চারজন অভিষেক ঘনিষ্ঠই পূর্ণমন্ত্রী হলেন। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন দু’জন। এক, বীরবাহা হাঁসদা। দুই, বিপ্লব রায়চৌধুরী। এখানেও বিপ্লব রায়চৌধুরী অভিষেক ঘনিষ্ঠ। রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন—তাজমূল হোসেন এবং সত্যজিৎ বর্মণ। এখানে তাজমূল হোসেন অভিষেকের কাছের লোক হিসাবে বলছেন মানুষজন।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বাবুল সুপ্রিয়কে বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেই বিজেপি থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অভিষেকের গাড়িতে করেই নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়ে জিতিয়ে আনা হয়। বরাবরই অভিষেক–বাবুল দারুণ সমীকরণ। উদয়ন গুহ দু’দিন আগে অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এসে নিজের পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছিলেন। তাছাড়া জেলায় সংগঠন তিনি ধরে রেখেছেন সেটা নিজে জিতেই প্রমাণ দিয়েছিলেন। অর্জুন গড়ে পার্থ ভৌমিক একুশের নির্বাচনে খেটে নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। যার পুরষ্কার পেলেন। জেলা থেকে সাফল্য তুলে দিয়েছিলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী, তাজমূল হোসেনরা। তাই তাঁদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হল।