কয়েক ঘণ্টা বাদেই রাজ্যে মন্ত্রিসভায় হতে চলেছে রদবদল। মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকটি নতুন মুখ আসতে বলে সোমবারই নবান্নে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রদবদলের আগে কার কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। জল্পনা চলছে কে কোন মন্ত্রী হতে পারেন তা নিয়েও।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ৮ জন নতুন মন্ত্রি শপথ নিতে পারেন এদিন। তালিকায় রয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রদীপ মজুমদার, পার্থ ভৌমিক, বাবুল সুপ্রিয়, সত্যজিৎ বর্মন, তাজমুল হোসেন, উদয়ন গুহ, বিপ্লব রায়চৌধুরীর নাম। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের সম্ভাব্য মন্ত্রকও সামনে এসেছে।
দরজা খোলাতে না পেরে পণ্ডিতিয়ার ফ্ল্যাট সিল করল ED, এতেও আছে কোটি কোটি টাকা?
তৃণমূল সূত্রে খবর, পরেশ অধিকারীর জায়গায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর পঞ্চায়েত দফতর দেখভাল করছিলেন পুলক রায়। সেই মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। এছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হতে পারেন পার্থ ভৌমিক।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন রত্না বেরা, সৌমেন মহাপাত্র ও পরেশচন্দ্র অধিকারী।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলছিল। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পান্ডের মৃত্যুতে খালি হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রক। তার ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর রদবদল না করে আর উপায় ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একগুচ্ছ নতুন মুখ এনে মন্ত্রিসভার ভাবমূর্তি বদলাতে চাইছেন মমতা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার ও তার পর পার্থবাবুর গ্রেফতারির ঘটনায় মন্ত্রিসভার ভাবমূর্তি যে ধাক্কা খেয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন মমতা। নতুনদের এনে মুখ্যমন্ত্রী ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন বলে মত অনেকের।
আজই সরকারি কর্মীদের উপহার দেবে সরকার? মন্ত্রিসভার বৈঠকে DA বৃদ্ধির সম্ভাবনা
তবে এদিনের রদবদলের পর পার্থবাবুর হাতে থাকা মন্ত্রকগুলি মুখ্যমন্ত্রী কাকে দেন সেদিকে সবার নজর থাকবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ছিল ৩টি মন্ত্রক। শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষদীয় দফতর ছিল তাঁর হাতে। সেই দফতরগুলি মমতা কাকে দেন সেদিকে নজর থাকবে। সাধন পান্ডের প্রয়াণে খালি হওয়া ক্রেতা সুরক্ষা দফতরও নতুন মন্ত্রী পেতে পারে এদিন।
তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস রায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বয়সের কারণে তাঁকে সংগঠন ও দলের কাজে রাখতে চাইছেন মমতা। এর আগে পরিষদীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তাপস রায়। ফলে ফের তিনি পরিষদীয় দফতর ফেরত পাবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।