হাওড়ার ডুমুরজলাকে স্পোর্টস সিটি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সেখানে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল তৈরি হয়ে গিয়েছে । পাশাপাশি সেখানে আরও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার পরিকাঠামো করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সবুজকে ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য মঙ্গলবার দাবি করেন, ডুমুরজলাতে স্পোর্টস সিটি তৈরি করার জন্য জলাভূমি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে সবুজ ধ্বংস করে বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করা হচ্ছে। আইনজীবীর এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, কীভাবে তৈরি করা হচ্ছে এই স্পোর্টস সিটি। সেইসঙ্গে সবুজ ধ্বংস করার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়টিও রাজ্যকে জানাতে বলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে।
মামলাকারীর বক্তব্য, ডুমুরজলাকে হাওড়া শহরের ফুসফুস হিসেবে ধরা হয়। কারণ এখানে প্রচুর গাছ রয়েছে। কিন্তু, সেখানে স্পোর্টস সিটি করতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে গাছ নিধন করা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে থাকা জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ডুমুরজলার এই মাঠে প্রায় ৫৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা। এরপরে সেখানে খেলাধুলার বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরীর ব্যবস্থা করা হয়। ধীরে ধীরে সেখানে তৈরি করা হয় স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল প্রভৃতি। পরে হিডকোর সহায়তায় তা নতুনভাবে সেজে ওঠে। এরপরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে সেখানে স্পোর্টস সিটি করার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার। এর জন্য ৬০ একর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানে সুইমিং পুল কমপ্লেক্স ,ব্যাডমিন্টন, টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল কোর্ট, কুস্তি চর্চার মাঠ ক্রিকেট মাঠ প্রভৃতি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। ২০১৮ সালে এই কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।