বাবা, দাদা ও কাকার বিরুদ্ধে মারধর-সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন মেয়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে তরুণীর করা সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো ও মনগড়া। এমনকী মানসিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে লুম্বিনী পার্কেও পাঠায় পুলিশ। অবশেষে মেয়ের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে তাঁর চিকিৎসার সু-বন্দোবস্ত করার আবেদনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মা।
মঙ্গলবার এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেখানেই মায়ের আবেদন মেনে নেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। একইসঙ্গে মেয়ের করা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। মায়ের আর্জি মেনে তাঁর চিকিৎসা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের অভিযোগের বাস্তব কোনও সত্যতা নেই। তবে ওই তরুণী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। এমনকী পরিচিতদের কাছেও সে কথা প্রায় বলতেন তিনি। মামলাকারীর তরফের আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন, ‘ওই তরুণী সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। মায়ের দাবি মতো চিকিৎসা করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।’
এমনিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে ওই তরুণী পরিবারের বিরুদ্ধে ভুয়ো ও মনগড়া অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরেই মানসিক চিকিৎসার জন্য ওই তরুণীকে লুম্বিনি পার্কে পাঠায় পুলিশ। সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণী। পরিবারের কাছে ভবিষ্যতে নার্স হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ওই তরুণী। পরিবারের তরফ থেকে ওই তরুণীকে নার্সিং কলেজে ভরতি করিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই ফের নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছেও সেই একই অভিযোগ করেন তরুণী। আবারও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষও পরিবারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পরই মেয়ের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে চিকিৎসা করানোর আবেদনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মা।