এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই সম্ভবত ভোটগ্রহণ হবে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে। সেজন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। সংরক্ষিত আসনের তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারির প্রস্তুতি শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আগামী ১৭ জানুয়ারি জারি হতে পারে সেই বিজ্ঞপ্তি।
১৪৪ আসনের কলকাতা পুরসভায় ৫৬টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন মেয়র পারিষদের ওয়ার্ডও। বিজ্ঞপ্তি জারির পর আপত্তি জানানোর জন্য ২২ দিন সময় পাবে রাজনৈতিক দলগুলি। তার পর সেই তালিকা পাঠানো হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে।
সূত্রের খবর, ১২ – ১৫ এপ্রিলের মধ্যে হতে পারে ভোটগ্রহণ। ফলে গরমের শুরুতেই ফের রাজ্যে রাজনৈতিক ঝড় উঠতে চলেছে বলাই যায়। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে মোট ৫৬টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ছে। এর মধ্যে ৪টি ওয়ার্ড তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। ৩টি ওয়ার্ড তপশিলি জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৪৫টি আসন অপরিবর্তিত থাকছে।
তবে তপশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণের জন্য আসন ছাড়তে হবে স্বপন সমাদ্দার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, দেবব্রত মজুমদারের মতো মেয়র পারিষদকে।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলের কথা মাথায় রেখে বিজেপিকে গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় সম্প্রতি বিজেপির প্রতি মানুষের প্রবণতা বেশ স্পষ্ট। বিশেষ করে যে সব এলাকায় ব্যবসায়ীদের বসবাস সেখানে বিজেপি বেশ বেগ দিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, প্রার্থীতালিকায় খুব বেশি রদবদল করবে না শাসকদল।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মহড়া হিসাবে দেখা হয় কলকাতা পুরসভা নির্বাচনকে। ফলে ছোট লালবাড়ির দখল কার হাতে থাকে সেদিকে নজর তো থাকবেই।