সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত যাবতীয় সরকারি বিজ্ঞাপন রাজ্য সরকারকে বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত এই সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখতে হবে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশের পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমোদন পাওয়ায় বিলটি আইনে পরিণত হয়। সেই আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়।
তারপর রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তাতে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, এ রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালু করা হবে না। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, জনগণের টাকায় কীভাবে এরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারে রাজ্য ? রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও অসন্তোষ করেন।
এরইমধ্যে এনিয়ে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে আজ প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনজাতীয় নাগরিকপঞ্জ সংক্রান্ত যাবতীয় সরকারি বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এনিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্টও তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৯ জানুয়ারি ফের মামলাটির শুনানি হবে।
এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ও ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু হয়েছে বলে হাইকোর্টে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। পাশাপাশি, হিংসার কারণে কত ক্ষতি হয়েছে ও সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রেলকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।ি ও প্রকাশে পহিংসাড়ে